Monday, November 11, 2013

“We Real Cool,” ...........Gwendolyn Brooks

We real cool.
We Left school.
We Lurk late.
We Strike straight.
We Sing sin.
We Thin gin.
We Jazz June.
We Die soon.

“He Would Never Use One Word Where None Would Do,”.......... Philip Levine

If you said “Nice day,” he would look up
at the three clouds riding overhead,
nod at each, and go back to doing what-
ever he was doing or not doing.
If you asked for a smoke or a light,
he’d hand you whatever he found
in his pockets: a jackknife, a hankie –
usually unsoiled — a dollar bill,
a subway token. Once he gave me
half the sandwich he was eating
at the little outdoor restaurant
on La Guardia Place. I remember
a single sparrow was perched on the back
of his chair, and when he held out
a piece of bread on his open palm,
the bird snatched it up and went back to
its place without even a thank you,
one hard eye staring at my bad eye
as though I were next. That was in May
of ’97, spring had come late,
but the sun warmed both of us for hours
while silence prevailed, if you can call
the blaring of taxi horns and the trucks
fighting for parking and the kids on skates
streaming past silence. My friend Frankie
was such a comfort to me that year,
the year of the crisis. He would turn
up his great dark head just going gray
until his eyes met mine, and that was all
I needed to go on talking nonsense
as he sat patiently waiting me out,
the bird staring over his shoulder.
“Silence is silver,” my Zaydee had said,
getting it wrong and right, just as he said
“Water is thicker than blood,” thinking
this made him a real American.
Frankie was already American,
being half German, half Indian.
Fact is, silence is the perfect water:
unlike rain it falls from no clouds
to wash our minds, to ease our tired eyes,
to give heart to the thin blades of grass
fighting through the concrete for even air
dirtied by our endless stream of words.

“This is Just to Say,”.................. William Carlos Williams

I have eaten
the plums
that were in
the icebox

and which
you were probably
saving
for breakfast

Forgive me
they were delicious
so sweet
and so cold

Wednesday, October 30, 2013

Excellent Story In Bangla

If you want to read some excellent Story in bangla, you can visit SOTTOMITTHA . It carry different type story , article which give a beautiful look to see people , also remove monotonous in our life . It contains many kind of quiz that answer is ease but you must think a little.

http://www.sottomittha.blogspot.com

Thursday, October 24, 2013

আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম।
তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা, মরমের মূল পথ ধরে।

পুষে রাখে যেমন কুসুম, খোলসের আবরণে মুক্তোর ঘুম।
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া, ভিতরের নীল বন্দরে।

ভাল আছি ভাল থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।
দিয়ো তোমার মালাখানি, বাউলের এই মনটারে।
আমার ভিতরে বাহিরে………

ভালবাসার সময় তো নেই – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

ভালবাসার সময় তো নেই
ব্যস্ত ভীষন কাজে,
হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে।

ঘামের জলে ভিজে সাবাড়
করাল রৌদ্দুরে,
কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে।

কাজের মাঝে দিন কেটে যায়
কাজের কোলাহল
তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল।

নদী আমার বয় না পাশে
স্রোতের দেখা নেই,
আটকে রাখে গেরস্থালির লেই।

তোমার দিকে ফিরবো কখন
বন্দী আমার চোখ
পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ।

চায়ের দোকানে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

লণ্ডনে আছে লাস্ট বেঞ্চির ভীরু পরিমল,
রথীন এখন সাহিত্যে এক পরমহংস
দীপু তো শুনেছি খুলেছে বিরাট কাগজের কল
এবং পাঁচটা চায়ের বাগানে দশআনি অংশ
তদুপরি অবসর পেলে হয় স্বদেশসেবক;

আড়াই ডজন আরশোলা ছেড়ে ক্লাস ভেঙেছিল পাগলা অমল
সে আজ হয়েছে মস্ত অধ্যাপক!
কি ভয়ংকর উজ্জ্বল ছিল সত্যশরণ
সে কেন নিজের কণ্ঠ কাটলো ঝকঝকে ক্ষুরে -
এখনো ছবিটি চোখে ভাসলেই জাগে শিহরণ
দূরে চলে যাবে জানতাম, তবু এতখানি দূরে ?

গলির চায়ের দোকানে এখন আর কেউ নেই
একদা এখানে সকলে আমরা স্বপ্নে জেগেছিলাম
এক বালিকার প্রণয়ে ডুবেছি এক সাথে মিলে পঞ্চজনেই
আজ এমনকি মনে নেই সেই মেয়েটিরও নাম।

নীরা ও জীরো আওয়ার– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

এখন অসুখ নেই, এখন অসুখ থেকে সেরে উঠে
পরবর্তী অসুখের জন্য বসে থাকা। এখন মাথার কাছে
জানলা নেই, বুক ভরা দুই জানলা, শুধু শুকনো চোখ
দেয়ালে বিশ্রাম করে, কপালে জলপট্টির মতো
ঠাণ্ডা হাত দূরে সরে গেছে, আজ এই বিষম সকালবেলা
আমার উত্থান নেই, আমি শুয়ে থাকি, সাড়ে দশটা বেজে যায়।

প্রবন্ধ ও রম্যরচনা, অনুবাদ, পাঁচ বছর আগের
শুরু করা উপন্যাস, সংবাদপত্রের জন্য জল-মেশানো
গদ্য থেকে আজ এই সাড়ে দশটায় আমি সব ভেঙেচুরে
উঠে দাঁড়াতে চাই–অন্ধ চোখ, ছোট চুল–ইস্ত্রিকরা পোশাক ও
হাতের শৃঙ্খল ছিঁড়ে ফেলে আমি এখন তোমার
বাড়ির সামনে, নীরা থুক্‌ করে মাটিতে থুতু ছিটিয়ে‌
বলি : এই প্রাসাদ একদিন আমি ভেঙে ফেলবো! এই প্রাসাদে
এক ভারতবর্ষব্যাপী অন্যায়। এখান থেকে পুনরায় রাজতন্ত্রের
উৎস। আমি
ব্রীজের নিচে বসে গম্ভীর আওয়াজ শুনেছি, একদিন
আমূলভাবে উপড়ে নিতে হবে অপবিত্র সফলতা।

কবিতায় ছোট দুঃখ, ফিরে গিয়ে দেখেছি বহুবার
আমার নতুন কবিতা এই রকম ভাবে শুরু হয় :
নীরা, তোমায় একটি রঙিন
সাবান উপহার
দিয়েছি শেষবার;
আমার সাবান ঘুরবে তোমার সারা দেশে।
বুক পেরিয়ে নাভির কাছে মায়া স্নেহে
আদর করবে, রহস্যময় হাসির শব্দে
ক্ষয়ে যাবে, বলবে তোমার শরীর যেন
অমর না হয়…

অসহ্য! কলম ছুঁড়ে বেরিয়ে আমি বহুদূর সমুদ্রে
চলে যাই, অন্ধকারে স্নান করি হাঙর-শিশুদের সঙ্গে
ফিরে এসে ঘুম চোখ, টেবিলের ওপাশে দুই বালিকার
মতো নারী, আমি নীল-লোভী তাতার বা কালো ঈশ্বর-খোঁজা
নিগ্রোদের মতো অভিমান করি, অভিমানের স্পষ্ট
শব্দ, আমার চা-মেশানো ভদ্রতা হলুদ হয়!

এখন, আমি বন্ধুর সঙ্গে সাহাবাবুদের দোকানে, এখন
বন্ধুর শরীরে ইঞ্জেকশন ফুঁড়লে আমার কষ্ট, এখন
আমি প্রবীণ কবির সুন্দর মুখ থেকে লোমশ ভ্রুকুটি
জানু পেতে ভিক্ষা করি, আমার ক্রোধ ও হাহাকার ঘরের
সিলিং ছুঁয়ে আবার মাটিতে ফিরে আসে, এখন সাহেব বাড়ীর
পার্টিতে আমি ফরিদপুরের ছেলে, ভালো পোষাক পরার লোভ
সমেত কাদা মাখা পায়ে কুৎসিত শ্বেতাঙ্গিনীকে দু’পাটি
দাঁত খুলে আমার আলজিভ দেখাই, এখানে কেউ আমার
নিম্নশরীরের যন্ত্রনার কথা জানে না। ডিনারের আগে
১৪ মিনিটের ছবিতে হোয়াইট ও ম্যাকডেভিড মহাশূন্যে
উড়ে যায়, উন্মাদ! উন্মাদ! এক স্লাইস পৃথিবী দূরে,
সোনার রজ্জুতে
বাঁধা একজন ত্রিশঙ্কু। কিন্তু আমি প্রধান কবিতা
পেয়ে গেছি প্রথমেই, ৯, ৮, ৭, ৬, ৫…থেকে ক্রমশ শূন্যে
এসে স্তব্ধ অসময়, উলটোদিকে ফিরে গিয়ে এই সেই মহাশূন্য,
সহস্র সূর্যের বিস্ফোরণের সামনে দাঁড়িয়ে ওপেনহাইমার
প্রথম এই বিপরীত অঙ্ক গুনেছিল ভগবৎ গীতা আউড়িয়ে?
কেউ শূন্যে ওঠে কেউ শূন্যে নামে, এই প্রথম আমার মৃত্যু
ও অমরত্বের ভয় কেটে যায়, আমি হেসে বন্দনা করি :
ওঁ শান্তি! হে বিপরীত সাম্প্রতিক গণিতের বীজ
তুমি ধন্য, তুমি ইয়ার্কি, অজ্ঞান হবার আগে তুমি সশব্দ
অভ্যুত্থান, তুমি নেশা, তুমি নীরা, তুমিই আমার ব্যক্তিগত
পাপমুক্তি। আমি আজ পৃথিবীর উদ্ধারের যোগ্য

নীরার পাশে তিনটি ছায়া – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

নীরা এবং নীরার পাশে তিনটি ছায়া
আমি ধনুকে তীর জুড়েছি, ছায়া তবুও এত বেহায়া
পাশ ছাড়ে না
এবার ছিলা সমুদ্যত, হানবো তীর ঝড়ের মতো–
নীরা দু’হাত তুলে বললো, ‘মা নিষাদ!
ওরা আমার বিষম চেনা!’
ঘূর্ণি ধুলোর সঙ্গে ওড়ে আমার বুক চাপা বিষাদ–
লঘু প্রকোপে হাসলো নীরা, সঙ্গে ছায়া-অভিমানীরা
ফেরানো তীর দৃষ্টি ছুঁয়ে মিলিয়ে গেল
নীরা জানে না!

জয়ী নই, পরাজিত নই – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

পাহাড়-চুড়ায় দাঁড়িয়ে মনে হয়েছিল
আমি এই পৃথিবীকে পদতলে রেখেছি
এই আক্ষরিক সত্যের কছে যুক্তি মূর্ছা যায়।
শিহরিত নির্জনতার মধ্যে বুক টন্‌‌টন করে ওঠে
হাল্‌কা মেঘের উপচ্ছায়ায় একটি ম্লান দিন
সবুজকে ধূসর হতে ডাকে
আ-দিগন্ত প্রান্তের ও টুকরো ছড়ানো টিলার উপর দিয়ে
ভেসে যায় অনৈতিহাসিক হাওয়া
অরণ্য আনে না কোনো কস্তুরীর ঘ্রাণ
কিছু নিচে ছুটন্ত মহিলার গোলাপি রুমাল উড়ে গিয়ে পড়ে
ফণমনসার ঝোপে
নিঃশব্দ পায়ে চলে যায় খরগোশ আর রোদ্দুর।

এই যে মুহূর্তে, এই যে দাঁড়িয়ে থাকা–এ‌র কোনো অর্থ নেই
ঝর্নার জলে ভেসে যায় সম্রাটের শিরস্ত্রাণ
কমলার কোয়া থেকে খসে পড়া বীজ ঢুকে পড়ে পাতাল গর্ভে
পোল্‌কা ডট্‌ দুটি প্রজাপতি তাদের আপন আপন কাজে ব্যস্ত
বাব্‌‌লা গাছের শুক্‌নো কাঁটাও দাবী করেছে প্রকৃতির প্রতিনিধিত্ব।
সব দৃশ্যই এমন নিরপেক্ষ
আমি জয়ী নই, আমি পরাজিত নই, আমি এমনই একজন মানুষ
পাহাড় চূড়ায় পৃথিবীকে পদতলে রেখে, আমার নাভিমূল
থেকে উঠে আসে বিষণ্ন, ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাস
এই নির্জনতাই আমার ক্ষমাপ্রার্থী অশ্রুমোচনের মুহূর্ত।।

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে - রবীন্দ্র সংগীত

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।
একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো রে॥
যদি কেউ কথা না কয়, ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি সবাই থাকে মুখ ফিরায়ে সবাই করে ভয়—
তবে পরান খুলে
ও তুই মুখ ফুটে তোর মনের কথা একলা বলো রে॥
যদি সবাই ফিরে যায় , ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি গহন পথে যাবার কালে কেউ ফিরে না চায়—
তবে পথের কাঁটা
ও তুই রক্তমাখা চরণতলে একলা দলো রে॥
যদি আলো না ধরে, ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি ঝড়-বাদলে আঁধার রাতে দুয়ার দেয় ঘরে—
তবে বজ্রানলে
আপন বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা জ্বলো রে॥

আকাশ ও মানুষ – নির্মলেন্দু গুণ

কবে থেকে আকাশ দাঁড়িয়ে আছে একা,
তার বুক থেকে খসে পড়েছে কত তারা।
বেঁচে থাকলে আরো কত তারাই খসবে,
তা নিয়ে আকাশ কি দুঃখ করতে বসবে?

না, বসবে না, আমি বলছি, লিখে নাও,
আকাশকে তো মহান মানি এ-কারণেই।
মনুষ্যবৎ হলে কি মানুষ তাকে মানতো?

প্রিয়জন চলে গেলে মানুষই ব্যথিত হয়,
আকাশ নির্বিকার, আকাশ কখনও নয়।
তোমরা মানুষ, তাই সহজেই দুঃখ পাও,
হে ঈশ্বর, আমাকে আকাশ করে দাও।

অনন্ত বরফবীথি – নির্মলেন্দু গুণ

মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে কংশের জলে ভাসিয়ে দিও।
যদি শিমুলের তুলা হতাম, বাতাসে উড়িয়ে দিতে বলতাম,
কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, আমি বাতাসের চেয়ে হালকা নই।
আমাকে তোমরা কাঠের আগুনে পুড়িয়ে ফেলো না,
কিংবা মাটি খুঁড়ে কবর দিও না আজিমপুর বা বনানীতে।
বর্জ্যপদার্থের মতো আমি চাই না মাটিতে মিশে যেতে।
মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে কংশের জলে ভাসিয়ে দিও।
যাতে জলপথে ভাসতে-ভাসতে, ভাসতে-ভাসতে
আমি পৌঁছুতে পারি পৃথিবীর নব-নব দেশে।

জাপান-সাগরের মালবাহী জাহাজের সাথে পাল্লা দিয়ে
আমি ঢেউয়ের চূড়ায় ভেসে বেড়াবো, প্রাণহীন রাজর্হাস।
তার আগে ডান দিকে ঘুরে, আমি একটু বিশ্রাম নেবো
সিডনি বন্দরে, যদি সেখানে হঠাৎ মৈত্রেয়ীর দেখা পাই।
ভারত বনাম নিউজীল্যাণ্ডের একদিনের ক্রিকেট ম্যাচ
দেখতে আমি দু’দিনের জন্য থামবো ডুনেডিনে।
একরাত্রির জন্য ইচ্ছে আছে সায়গন নদীতে যাবার।
রেড রিভারে রঙিন মাছের সঙ্গে খেলা করবো এক দিন।
একদিন লস এঞ্জেলেসে হঠাৎ চুম্বন হয়ে ভেসে উঠবো
এক প্রিয়দর্শিনী নাসিমার হাসিমাখা মুখের লজ্জায়।
তারপর কোনো এক গভীর নিশিথে আমি ধরা পড়বো
ক্যালিফোর্নিয়ায়, সান ডি আগোর বৃদ্ধ জেলের জালে।

বলিভিয়ার জঙ্গলে ক্ষিপ্র-চিতার হরিণ শিকার দেখবো
একদিন, একদিন পেরুর অরণ্যঘেরা নির্জন দ্বীপে যাবো,
একদিন অলিভিয়ার সোনালি দাঁতের হাসি দেখার জন্য
ভাসতে-ভাসতে চলে যাবো এন সালভাদর।

আমার আফ্রিকান বন্ধুদের দেখতে দক্ষিণ আটলান্টিকের
জলে ভেসে ভেসে আমি কেপটাউন আর এডেন বন্দর ছুঁয়ে
কয়েকদিনের জন্য যাবো ঘানা, জিম্বাবুই আর জাম্বিয়ায়।
তারপর নিউ ইয়র্ক বন্দরের পথে আমি একটু জিরিয়ে নেবো
নিউ ফাইণ্ডল্যাণ্ডের তুষার-শীতল সবুজ শ্যাওলার নিচে।
বাল্টিমোর, মেরীল্যাণ্ড হয়ে পূরবীর হারানো স্মৃতির টানে
শুধু একরাত্রির জন্য আমি যাবো ফিলাডেলফিয়ায়।

এন্টার্কটিকায় যখন পেঙ্গুইন পাখিদের সঙ্গে দেখা হবে,
আমি তাদের কাছে বলবো আমার যাত্রাপথের গল্প।
তাদের আমি আবৃত্তি করে শোনাবো আমার কবিতাগুলো
তাদের আতিথ্যে মহানন্দে কাটিয়ে দেবো কয়েক বছর।

হ্যাঁ, আমি ইউরোপেও যাবো, যাবো ভার্সেই, বুদাপেষ্ট।
রাইন-দানিয়ুব-ভলগা-লেনার জলে ভাসতে-ভাসতে
আমি পৌঁছাবো দূর-প্রাচ্যে, খাবারভক্সে, সাইবেরিয়ায়।
ভেঙে-যাওয়া সোভিয়েট ইউনিয়ন আর আমার দোভাষিকা
সুন্দরী লেনা দোব্‌রাভ্‌স্কায়ার কথা ভাবতে-ভাবতে,
মেঘের মশারি টানিয়ে বৈকাল হ্রদের জলে দেবো দীর্ঘ ঘুম।
জাগবো না, যতক্ষণ না ইস্রাফিলের শিঙার ধ্বনিতে
গলতে শুরু করে অনন্ত বরফবীথি; যতক্ষণ না
পদার্থের বিক্রিয়ায় স্থলভাগ স্থান বদল করে
জল-ভাগের সঙ্গে।

মানুষ -নির্মলেন্দু গুণ

আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম,
হাঁটতে পারে, বসতে পারে, এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যায়,
মানুষগুলো অন্যরকম, সাপে কাটলে দৌড়ে পালায় ।

আমি হয়তো মানুষ নই, সারাটা দিন দাঁড়িয়ে থাকি,
গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকি।
সাপে কাটলে টের পাই না, সিনেমা দেখে গান গাই না,
অনেকদিন বরফমাখা জল খাই না ।
কী করে তাও বেঁচে থাকছি, ছবি আঁকছি,
সকালবেলা, দুপুরবেলা অবাক করে
সারাটা দিন বেঁচেই আছি আমার মতে । অবাক লাগে ।

আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষ হলে জুতো থাকতো,
বাড়ি থাকতো, ঘর থাকতো,
রাত্রিবেলায় ঘরের মধ্যে নারী থাকতো,
পেটের পটে আমার কালো শিশু আঁকতো ।

আমি হয়তো মানুষ নই,
মানুষ হলে আকাশ দেখে হাসবো কেন ?
মানুষগুলো অন্যরকম, হাত থাকবে,
নাক থাকবে, তোমার মতো চোখ থাকবে,
নিকেলমাখা কী সুন্দর চোখ থাকবে
ভালোবাসার কথা দিলেই কথা রাখবে ।

মানুষ হলে উরুর মধ্যে দাগ থাকতো ,
বাবা থাকতো, বোন থাকতো,
ভালোবাসার লোক থাকতো,
হঠাৎ করে মরে যাবার ভয় থাকতো ।

আমি হয়তো মানুষ নই,
মানুষ হলে তোমাকে নিয়ে কবিতা লেখা
আর হতো না, তোমাকে ছাড়া সারাটা রাত
বেঁচে থাকাটা আর হতো না ।

মানুষগুলো সাপে কাটলে দৌড়ে পালায়;
অথচ আমি সাপ দেখলে এগিয়ে যাই,
অবহেলায় মানুষ ভেবে জাপটে ধরি ।

শুধু তোমার জন্য- নির্মলেন্দু গুণ

কতবার যে আমি তোমোকে স্পর্শ করতে গিয়ে
গুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন।
তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েও
কতবার যে আমি সে কথা বলিনি
সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন।
তোমার হাতের মৃদু কড়ানাড়ার শব্দ শুনে জেগে উঠবার জন্য
দরোজার সঙ্গে চুম্বকের মতো আমি গেঁথে রেখেছিলাম
আমার কর্ণযুগল; তুমি এসে আমাকে ডেকে বলবেঃ
‘এই ওঠো,
আমি, আ…মি…।’
আর অমি এ-কী শুনলাম
এমত উল্লাসে নিজেকে নিক্ষেপ করবো তোমার উদ্দেশ্যে
কতবার যে এরকম একটি দৃশ্যের কথা আমি মনে মনে
কল্পনা করেছি, সে-কথা আমার ঈশ্বর জানেন।
আমার চুল পেকেছে তোমার জন্য,
আমার গায়ে জ্বর এসেছে তোমার জন্য,
আমার ঈশ্বর জানেন- আমার মৃত্যু হবে তোমার জন্য।
তারপর অনেকদিন পর একদিন তুমিও জানবে,
আমি জন্মেছিলাম তোমার জন্য। শুধু তোমার জন্য।

যাত্রাভঙ্গ-নির্মলেন্দু গুন

হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে
মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না
এক কে করি দুই।

হেমের মাঝে শুই না যবে,
প্রেমের মাঝে শুই
তুই কেমন কর যাবি?
পা বাড়ালেই পায়ের ছায়া
আমাকেই তুই পাবি।

তবুও তুই বলিস যদি যাই,
দেখবি তোর সমুখে পথ নাই।

তখন আমি একটু ছোঁব
হাত বাড়িয়ে জড়াব তোর
বিদায় দুটি পায়ে,
তুই উঠবি আমার নায়ে,
আমার বৈতরণী নায়ে।

নায়ের মাঝে বসবো বটে,
না-এর মাঝে শোবো,
হাত দিয়েতো ছোঁব না মুখ
দুঃখ দিয়ে ছোঁব।

তোমার চোখ এতো লাল কেন? – নির্মলেন্দু গুণ

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক । আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী -সেবার দায় থেকে ।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক :
আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না,
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না ।
এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি ।

আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক । কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক ।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক : ‘তোমার চোখ এতো লাল কেন ?’

কথা আছে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

বহুক্ষণ মুখোমুখি চুপচাপ, একবার চোখ তুলে সেতু
আবার আলাদা দৃষ্টি, টেবিলে রয়েছে শুয়ে
পুরোনো পত্রিকা
প্যান্টের নিচে চটি, ওপাশে শাড়ির পাড়ে
দুটি পা-ই ঢাকা
এপাশে বোতাম খোলা বুক, একদিন না-কামানো দাড়ি
ওপাশে এলো খোঁপা, ব্লাউজের নীচে কিছু
মসৃণ নগ্নতা
বাইরে পায়ের শব্দ, দূরে কাছে কারা যায়
কারা ফিরে আসে
বাতাস আসেনি আজ, রোদ গেছে বিদেশ ভ্রমণে।
আপাতত প্রকৃতির অনুকারী ওরা দুই মানুষ-মানুষী
দু‘খানি চেয়ারে স্তব্ধ, একজন জ্বলে সিগারেট
অন্যজন ঠোঁটে থেকে হাসিটুকু মুছেও মোছে না
আঙুলে চিকচিকে আংটি, চুলের কিনারে একটু ঘুম
ফের চোখ তুলে কিছু স্তব্ধতার বিনিময়,
সময় ভিখারী হয়ে ঘোরে
অথচ সময়ই জানে, কথা আছে, ঢের কথা আছে।

চোখ নিয়ে চলে গেছে .....................সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

এই যে বাইরে হু হু ঝড়, এর চেয়ে বেশী
বুকের মধ্যে আছে
কৈশোর জুড়ে বৃষ্টি বিশাল, আকাশে থাকুক যত মেঘ,
যত ক্ষণিকা
মেঘ উড়ে যায়
আকাশ ওড়ে না
আকাশের দিকে
উড়েছে নতুন সিঁড়ি
আমার দু বাহু একলা মাঠের জারুলের ডালপালা
কাচ ফেলা নদী যেন ভালোবাসা
ভালোবাসার মতো ভালোবাসা
দু‘দিকের পার ভেঙে
নরীরা সবাই ফুলের মতন, বাতাসে ওড়ায়
যখন তখন
রঙিন পাপড়ি
বাতাস তা জানে, নারীকে উড়াল দেয়ে নিয়ে যায়
তাই আমি আর প্রকৃতি দেখি না,
প্রকৃতি আমার চোখ নিয়ে চলে গেছে!

কেউ কথা রাখে নি ...........................সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কেউ কথা রাখে নি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে নি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিলো
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কতো চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো,
কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতীক্ষায় আছি।

মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিলো, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিনপ্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কতো বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিনপ্রহরের বিল দেখাবে?

একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারি নি কখনো
লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে রাস-উৎসব
অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা
কত রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায় নি!
বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!

বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিলো,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি
দুরন্ত ষাড়ের চোখে বেঁধেছি লালকাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীলপদ্ম
তবু কথা রাখে নি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে-কোনো নারী।

কেউ কথা রাখে নি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে না!

Tuesday, October 22, 2013

পাখি-সব করে রব

পাখী-সব করে রব, রাতি পোহাইল।
কাননে কুসুমকলি, সকলি ফুটিল।।
রাখাল গরুর পাল, ল'য়ে যায় মাঠে।
শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে।।
ফুটিল মালতী ফুল, সৌরভ ছুটিল।
পরিমল লোভে অলি, আসিয়া জুটিল।।
গগনে উঠিল রবি, লোহিত বরণ।
আলোক পাইয়া লোক, পুলকিত মন।।
শীতল বাতাস বয়, জুড়ায় শরীর।
পাতায় পাতায় পড়ে, নিশির শিশির।।
উঠ শিশু মুখ ধোও, পর নিজ বেশ।
আপন পাঠেতে মন, করহ নিবেশ।।
আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ
বৃষ্টি তোমাকে দিলাম!
শুধু শ্রাবন-সন্ধ্যা টুকু তোমার কাছে
চেয়ে নিলাম!
আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ......

হৃদয়ের জানালায় চোখ মেলে রাখি
বাতাসের বাঁশিতে কান পেতে থাকি!
তাকে কাছে ডেকে
মনের আংগিনা থেকে
বৃষ্টি তোমাকে তবু
ফিরিয়ে দিলাম।

তোমাকে হাতেই হোক রাত্রি রচনা
এ আমার স্বপ্ন সুখের ভাবনা।
চেয়েছি পেতে যাকে
চাইনা হারাতে তাকে
বৃষ্টি তোমাকে তাই
ফিরে চাইনা ... ...

Friday, September 13, 2013

১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,

১৪০০ সাল
কাজী নজরুল ইসলাম

আজি হ'তে শত বর্ষ আগে
কে কবি, স্মরণ তুমি ক'রেছিলে আমাদেরে
শত আনুরাগে,
আজি হ'তে শত বর্ষ আগে।

ধেয়ানী গো, রহস্য-দুলাল।
উতারি' ঘোমটাখানি তোমার আখির আগে
কবে এল সুদূর আড়াল?

আনাগত আমাদের দখিন-দূয়ারী
বাতায়ন খুলি তুমি, হে গোপন হে স্বপ্ন-চারী,
এসেছিলে বসন্তের গন্ধবহ-সাথে,
শত বর্ষ পরে যেথা তোমার কবিতাখানি
পড়িতেছি রাতে।
নেহারিলে বেদনা-উজ্জ্বল আঁখি-নীরে,
আনমনা প্রজাপতি নীরব পাখায়
উদাসীন, গেলে ধীরে ফিরে।

আজি মোরা শত বর্ষ পরে
যৌবন-বেদনা-রাঙা তোমার কবিতাখানি
পড়িতেছি অনুরাগ-ভরে ।
জড়িত জাগর ঘুমে শিথিল শয়নে
শুনিতেছি প্রিয়া মোর তোমার ইঙ্গিত গান
সজল নয়নে।

আজো হায়
বারে বারে খুলে যায়
দক্ষিণের রুদ্ধ বাতায়ন,
গুমরি গুমরি কাঁদে উচাটন বসন্ত-পবন
মনে মনে বনে বনে পল্লব মর্মরে,
কবরীর অশ্রুজল বেশী-খসা ফুল-দল
পড়ে ঝ'রে ঝ'রে।

ঝিরি ঝিরি কাঁপে কালো নয়ন-পল্লব,
মধুপের মুখ হতে কাড়িয়া মধুপী পিয়ে পরাগ আসব।
কপোতের চষ্ণুপুটে কপোতীর হারায় কূজন
পরিয়াছে বনবধূ যৌবন-আরক্তিম কিংশুক-বসন।
রহিয়া রহিয়া আজো ধরনীর হিয়া
সমীর উচ্ছ্বাস্ব যেন উঠে নিঃশ্বসিয়া।

তোমা হ'তে শত বর্ষ পরে -
তোমার কবিতাখানি পড়িতেছি, হে কবীন্দ্র,
অনুরাগ ভরে।
আজি এই মদালসা ফাগুন-নিশীথে
তোমার ইঙ্গিত জাগে তোমার সঙ্গীতে!
চতুরালি, ধরিয়াছি তোমার চাতুরী।
করি চুরি

আসিয়াছ আমাদের দুরন্ত যৌবনে,
কাব্য হ'য়ে, গান হ'য়ে, সিক্তকন্ঠে রঙ্গীলা স্বপনে।
আজিকার যত ফুল- বিহঙ্গের যত গান
যত রক্ত-রাগ
তব অনুরাগ হ'তে হে চির-কিশোর কবি,
আনিয়াছে ভাগ।
আজি নব-বসন্তের প্রভাত-বেলায়
গান হ'য়ে মাতিয়াছে আমাদের যৌবন-মেলায়।

আনন্দ দুলাল ওগো হে চির অমর।
তরুণ তরুণি মোরা জাগিতেছি আজ তব
মাধবী বাসর।
যত গান গাহিয়াছ ফুল-ফোটা রাতে-
সবগুলি তার
একবার- তা' পর আবার
প্রিয়া গাহে, আমি গাহি, আমি গাহি প্রিয়া গাহে সাথে।
গান-শেষে অর্ধরাতে স্বপনেতে শুনি
কাঁদে প্রিয়া, "ওগো কবি ওগো বন্ধু ওগো মোর গুণী-"
স্বপ্ন যায় থামি,
দেখি, বন্ধু, আসিয়াছ প্রিয়ার নয়ন-পাতে
অশ্রু হ'য়ে নামি।

মনে লাগে, শত বর্ষ আগে
তুমি জাগো- তবো সাথে আরো কেহ জাগে
দূরে কোন ঝিলিমিলি-তলে
লুলিত-অঞ্চলে।
তোমার ইঙ্গিতখানি সঙ্গীতের করুণ পাখায়
উড়ে যেতে যেতে সেই বাতায়নে ক্ষণিক তাকায়,
ছুঁয়ে যায় আখি-জল রেখা,
নুয়ে যায় অলক-কুসুম,
তারপর যায় হারাইয়া,- তুমি একা বসিয়া নিঝ্ঝুম।
সে কাহার আঁখিনীর- শিশির লাগিয়া,
মুকুলিকা বাণী তব কোনটি বা ওঠে মঞ্জুরিয়া,
কোনটি বা তখনো গুঞ্জরি ফেরে মনে
গোপনে স্বপনে।
সহসা খুলিয়া গেল দ্বার,
আজিকার বসন্ত প্রভাতখানি দাঁড়াল করিয়া নমস্কার।
শতবর্ষ আগেকার তোমারি সে বাসন্তিকা দূতি
আজি তব নবীনের জানায় আকুতি। . . . .
হে কবি-শাহান-শাহ। তোমারে দেখিনি মোরা,
সৃজিয়াছ যে তাজমহল-
শ্বেতচন্দনের ফোঁটা কালের কপালে ঝলমল-
বিস্ময়-বিমুগ্ধ মোরা তাই হেরি,
যৌবনেরে অভিশাপি- "কেন তুই শতবর্ষ করিলি রে দেরী?"
হায় মোরা আজ
মোম্তাজে দেখিনি, শুধু দেখিতেছি তাজ।
শতবর্ষ পরে আজি হে কবি-সম্রাট
এসেছে নূতন কবি- করিতেছে তব নান্দীপাঠ।
উদয়াস্ত জুড়ি আজো তব
কত না বন্দনা-ঋক ধ্বনিছে নব নব
তোমারি সে হারা-সুরখানি
নববেণু-কুঞ্জে-ছায়ে বিকশিয়া তোলে নববাণী।
আজি তব বরে
শতবেণু-বীণা বাজে আমাদের ঘরে।
তবুও পুরে না হিয়া ভরে নাক প্রাণ,
শতবর্ষ সাঁতরিয়া ভেসে আসে স্বপ্নে তব গান।
মনে হয়, কবি ,
আজো আছ অস্তপাট আলো করি
আমাদেরি রবি।
আজি হ'তে শত বর্ষ আগে
যে-অভিবাদন তুমি ক'রেছিলে নবীনেরে
রাঙা অনুরাগে,
সে অভিবাদনখানি আজি ফিরে চলে
প্রণামী-কমল হ'য়ে তব পদতলে।
মনে হয়, আসিয়াছ অপূর্ণের রূপে
ওগো পূর্ণ আমাদেরি মাঝে চুপে চুপে।
আজি এই অপূর্ণের কম্প্র কন্ঠস্বরে
তোমারি বসন্তগান গাহি তব বসন্ত-বাসরে -
তোমা হ'তে শতবর্ষ পরে।

Thursday, September 12, 2013

১৪০০ সাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আজি হতে শতবর্ষ-পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতুহলভরে-
আজি হতে শতবর্ষ-পরে।
আজি নব বসন্তের প্রভাতের আনন্দের
লেশমাত্র ভাগ-
আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান,
আজিকার কোনো রক্তরাগ
অনুরাগে সিক্ত করি পারিব কি পাঠাইতে
তোমাদের করে
আজি হতে শতবর্ষ-পরে।।

তবু তুমি একবার খুলিয়া দক্ষিণদ্বার
বসি বাতায়নে
সুদূর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি
ভেবে দেখো মনে-
একদিন শতবর্ষ-আগে
চঞ্চল পুলকরাশি কোন্ স্বর্গ হতে ভাসি
নিখিলের মর্মে আসি লাগে,
নবীন ফাল্গুনদিন সকল-বন্ধন-হীন
উন্মত্ত অধীর-
উড়ায়ে চঞ্চল পাখা পুষ্পরেণুগন্ধমাখা
দক্ষিণসমীর
সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙায়ে দেয়েছে ধরা
যৌবনের রাগে
তোমাদের শতবর্ষ-আগে।
সেদিন উতলা প্রাণে হৃদয় মগন গানে,
কবি এক জাগে-
কত কথা পুষ্পপ্রায় বিকশি তুলিতে চায়
কত অনুরাগে
একদিন শতবর্ষ-আগে। ।

আজি হতে শতবর্ষ-পরে
এখন করিছে গান সে কোন্ নুতন কবি
তোমাদের ঘরে!
আজিকার বসন্তের আনন্দ-অভিবাদন
পাঠায়ে দিলাম তাঁর করে।
আমার বসন্তগান তোমার বসন্তদিনে
ধ্বনিত হউক ক্ষণতরে-
হৃদয়স্পন্দনে তব, ভ্রমরগুঞ্জনে নব,
পল্লব মর্মরে,
আজি হতে শতবর্ষ-পরে।।

হে বন্ধু বিদায়

বন্ধুদের ই এই আসরে আজকেই যে শেষবার,
কালকে থেকে তোদের মাঝে রইব না রে আর...
চলে যাব আনেক দুরে,
যদি দেখিস পিছন ফিরে,
দেখতে পাবি তোদের মনে,
লুকিয়ে আছি ছোট্ট কোনে,
হয়ে একটু মিষ্টি হাসি,
মনের মাঝের একটু খুশি,
কাখনো বা আসবো হয়ে চোখের কোনের জল,
সেদিন আমায় কে চিনবি, বল রে তোরা বল....।

তোমায় নিয়ে লেখা কবিতা

ফ্রেমটা আছে আগের মত
ছবিটা সরেছে
তোমার পাশে নেই আমি আজ
নতুন কেউ এসেছে
সময়ের হাতটি ধরে
বদলেছে এই ছবি
তোমায় নিয়ে লেখা কবিতা
আমিতো কবি
তোমায় নিয়ে লেখা কবিতা
আমিতো কবি

পারবেনা কেউ পরতে তোমায়
আমার মত করে
বুজবেনা কেউ ভাষা তোমার
আছে যা অন্তরে
পারবেনা কেউ পরতে তোমায়
আমার মত করে
বুজবেনা কেউ ভাষা তোমার
আছে যা অন্তরে
অর্থহীন বলে মনে হবে
জীবনের সবই
তোমায় নিয়ে লেখা কবিতা
আমিতো কবি
তোমায় নিয়ে লেখা কবিতা
আমিতো কবি

নিজেকে একা লাগবে যখন
প্রতিটি প্রহরে
অনুভবে আসব তখন
সৃতির হাতটি ধরে
নিজেকে একা লাগবে যখন
প্রতিটি প্রহরে
অনুভবে আসব তখন
সৃতির হাতটি ধরে
মন দিগন্তে অস্ত যাবে
ভালবাসার রবি
তোমায় নিয়ে লেখা কবিতা
আমিতো কবি
ফ্রেমটা আছে আগের মত
ছবিটা সরেছে
তোমার পাশে নেই আমি আজ
নতুন কেউ এসেছে
সময়ের হাতটি ধরে
বদলেছে এই ছবি
তোমায় নিয়ে লেখা কবিতা
আমিতো কবি

মানুষ – কাজী নজরুল ইসলাম

গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে, সল কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
‘পূজারী, দুয়ার খোল,
ক্ষুদার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হলো!’
স্বপ্ন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়
দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ’য়ে যাবে নিশ্চয়!
জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুদায় কন্ঠ ক্ষীণ
ডাকিল পান্থ, ‘দ্বার খোল বাবা, খাইনি তো সাত দিন!’
সহসা বন্ধ হ’ল মন্দির, ভুখারী ফিরিয়া চলে,
তিমির রাত্রি, পথ জুড়ে তার ক্ষুদার মানিক জ্বলে!
ভুখারী ফুকারি’ কয়,
‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়!’

মসজিদে কাল শিরনী আছিল, অঢেল গোস্ত রুটি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটিকুটি!
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে-আজারির চিন্
বলে ‘বাবা, আমি ভুকা ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়াঁ হইয়া হাঁকিল মোল্লা - “ভ্যালা হ’ল দেখি লেঠা,
ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?”
ভুখারী কহিল, ‘না বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল – তা’ হলে শালা
সোজা পথ দেখ!’ গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা!
ভুখারী ফিরিয়া চলে,
চলিতে চলিতে বলে-
“আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু,
আমার ক্ষুদার অন্ন তা’বলে বন্ধ করোনি প্রভু
তব মসজিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী,
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী!”

এতোটা ভালোবাসি - রিকল

যখন নিঝুম রাতে সব কিছু চুপ নিষ্প্রাণ নগরীতে ঝিঝিরাও ঘুম
আমি চাঁদের আলো হয়ে
তোমার কালো ঘরে জেগে রই সারা নিশি, হুম্মম্মম
এতোটা ভালোবাসি ।

একি অপরূপ সুন্দর তার স্বপ্নে বর্ষা রাতে
আমি ভিজে ভিজে গড়ি মিছে
অদ্ভুত প্রভাতে দেখি ভীষণ অন্ধকার মাঝে
আলো-ছায়ায় তার নুপূর বাজে
আমি যে ভেবে ভেবে শিহরিত ।

আমি সূর্যের আলো হয়ে তোমার চলার পথে
ছায়া হয়ে তোমায় দেখি, হুম্মম্মম
এতোটা ভালোবাসি ।

বাবা - জেমস

ছেলে আমার বড় হবে,
মাকে বলত সে কথা
হবে মানুষের মত মানুষ এক লেখা ইতিহাসের পাতায়
নিজ হাতে খেতে পারতাম না,
বাবা বলত ও খোকা যখন আমি থাকবনা,
কি করবি রে বোকা…
এতো রক্তের সাখে রক্তের টান স্বার্থের অনেক উর্ধ্বে হঠাৎ
অজানা ঝড়ে তোমায় হারালাম
মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল
বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়
বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়॥

চশমাটা তেমনি আছে, আছে লাঠি ও পাঞ্জাবী তোমার
ইজিচেয়ারটাও আছে, নেই সেখানে অলস দেহ শুধু তোমার
আযানের ধ্বনি আজো শুনি, ভোরে ভাঙ্গাবেনা ঘুম তুমি জানি
শুধু শুনিনা তোমার সেই দরাজ কন্ঠে পড়া পবিত্র কোরআনের বানী…
বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়
বাবা কতরাত কতরাত দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়॥

বেঁচে থাকার গান - রূপম ইসলাম / সপ্তর্ষি মুখার্জী

যদি কেড়ে নিতে বলে কবিতা ঠাসা খাতা

জেনো কেড়ে নিতে দেবোনা

যদি ছেড়ে যেতে বলে শহুরে কথকতা

জেনো আমি ছাড়তে দেবোনা

আর আমি জানি চোরাবালি কতখানি গিলেছে আমাদের রোজ

আর আমি জানি প্রতি রাতে হয়রানি , হারানো শব্দের খোঁজ


আর এভাবেই নরম বালিশে, তোমার ওই চোখের নালিশে

বেঁচে থাক রাত পরীদের স্নান

ঠোঁটে নিয়ে বেঁচে থাকার গান


আর এভাবেই মুখের চাদরে, পরিচিত হাতের আদরে

বেঁচে থাক রাতে পরীদের স্নান

ঠোঁটে নিয়ে বাঁচিয়ে রাখার গান


যদি নিমেষে হারালে জীবনে পরিপাটি

তবু হেরে যেতে দেবোনা

যদি বেচে দিতে বলে শিকড়ে বাধা মাটি

জেনো আমি বেচতে দেবোনা

আর আমি জানি চোরাবালি কতখানি গিলেছে আমাদের রোজ

আর আমি জানি প্রতি রাতে হয়রানি , হারানো শব্দের খোঁজ


আর এভাবেই নরম বালিশে, তোমার ওই চোখের নালিশে

বেঁচে থাক রাত পরীদের স্নান

ঠোঁটে নিয়ে বেঁচে থাকার গান


আর এভাবেই মুখের চাদরে, পরিচিত হাতের আদরে

বেঁচে থাক রাতে পরীদের স্নান

ঠোঁটে নিয়ে বাঁচিয়ে রাখার গান…..

গানের কথা : অনুপম রায়

আমাকে আমার মতো থাকতে দাও - অনুপম রয়

আমাকে আমার মতো থাকতে দাও,
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি।
আমাকে আমার মতো থাকতে দাও,
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি।
যেটা ছিলনা ছিলনা সেটা না পাওয়াই ভাল,
সব পেলে নষ্ট জীবন।

তোমার এই দুনিয়ার ঝাপসা আলো,
কিছু সন্ধ্যের গুড়ো হওয়া কাচের মতো।
যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও,
দূরবীণে চোখ রাখবো না না না (না না না না না না না)।

এই জাহাজ মাস্তুল ছাড়খার,
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার।
আমি রাখতে চাইনা আর তার,
কোন রাত-দূপুরের আবদার।
তাই চেষ্টা করছি বারবার,
সাতরে পাড় খোজার।

কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে,
যদি নেমে আসে ভালবাসা খুব ভোরে।
চোখ ভাঙ্গা ঘুমে তুমি খুজোনা আমায়,
আশেপাশে আমি আর নেই।

আমার জন্য আলো জ্বেলোনা কেউ,
আমি মানুষের সমুদ্রে গুনেছি ঢেউ।
এই স্টেশনের চত্বরে হারিয়ে গেছি,
শেষ ট্রেনে ঘরে ফিরবো না না না (না না না না না না না)।

এই জাহাজ মাস্তুল ছাড়খাড়,
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার।
আমি রাখতে চাইনা আর তার,
কোন রাত-দূপুরের আবদার।
তাই চেষ্টা করছি বারবার,
সাতরে পাড় খোজার।

(না না না না না না না না না না না না না না না, না না না না না না না না না না না না না না না)

তোমার রক্তে আছে স্বপ্ন যতো,
তারা ছুটছে রাত্রি-দিন নিজের মতো।
কখনো সময় পেলে একটু ভেবো,
আঙুলের ফাকে আমি কই;

হিসেবের ভিড়ে আমি চাইনা ছুঁতে,
যত শুকনো পেয়াজ কলি, ফ্রিজের শীতে;
আমি ওবেলার ডাল-ভাত ফুরিয়ে গিয়েছি,
বিলাসের জলে ভাসব না না না।

এই জাহাজ মাস্তুল ছাড়খাড়,
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার।
আমি রাখতে চাইনা আর তার,
কোন রাত-দূপুরের আবদার।
তাই চেষ্টা করছি বারবার,
সাতরে পাড় খোজার।

(না না না না না না না না না না না না না না না, না না না না না না না না না না না না না না না)

আমি শুনেছি সেদিন তুমি - মৌসুমী ভৌমিক

আমি শুনেছি সেদিন তুমি”
আমি শুনেছি সেদিন তুমি সাগরের ঢেউ-এ চেপে
নীলজল দীগন্ত ছুঁয়ে এসেছ,
আমি শুনেছি সেদিন তুমি নোনাবালি তীর ধরে
বহুদূর বহুদূর হেঁটে এসেছ|
আমি কখনও যাইনি জলে,
কখনও ভাসিনি নীলে,
কখনও রাখিনি চোখ,
ডানামেলা গাঙচিলে|
আবার যেদিন তুমি সমুদ্রস্নানে যাবে
আমাকেও সাথে নিও,
নেবে তো আমায় ?
বল, নেবে তো আমায় !

আমি শুনেছি সেদিন নাকি তুমি তুমি তুমি মিলে
তোমরা সদলবলে সভা করেছিলে,
আর সেদিন তোমরা নাকি অনেক জটিল ধাঁধাঁ
না-বলা অনেক কথা, কথা তুলেছিলে :
কেন শুধু ছুটে ছুটে চলা
একই একই কথা বলা
নিজের জন্য বাঁচা নিজেকে নিয়ে ?
যদি ভালবাসা না-ই থাকে
শুধু একা একা লাগে
কোথায় শান্তি পাব, কোথায় গিয়ে ?
বল, কোথায় গিয়ে ?

আমি শুনেছি তোমরা নাকি এখনও স্বপ্ন দ্যাখো,
এখনও গল্প লেখো, গান গাও প্রাণ ভরে,
মানুষের বাঁচা মরা এখনও ভাবিয়ে তোলে,
তোমাদের ভালবাসা এখনো গোলাপে ফোটে|
আস্থা-হারানো এই মন নিয়ে আমি আজ
তোমাদের কাছে এসে দুহাত পেতেছি,
আমি দু’চোখের গহ্বরে শূণ্যতা দেখি শুধু
রাতঘুমে আমি কোনো স্বপ্ন দেখিনা,
তাই স্বপ্ন দেখবো বলে
আমি দু’চোখ পেতেছি|
তাই তোমাদের কাছে এসে
আমি দু’হাত পেতেছি|
তাই স্বপ্ন দেখবো বলে
আমি দু’চোখ পেতেছি|

ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে - রবীন্দ্র সংগীত

ফুলে ফুলে ঢ'লে ঢ'লে বহে কি'বা মৃদু বায় ।।
তটিণী-র হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায় ।
পিক কি'বা কুঞ্জে কুঞ্জে ।।
কুউহু কুউহু কুউহু গায়,
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায় ।

ফুলে ফুলে ঢ'লে ঢ'লে বহে কি'বা মৃদু বায় ।।
তটিণী-র হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায় ।
পিক কি'বা কুঞ্জে কুঞ্জে ।।
কুউহু কুউহু কুউহু গায়,
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়।

আজ রাতে কোন রূপকথা নেই - ওন্ড স্কুল

চাঁদ মামা আজ বড্ড একা বড় হয়েছি আমি,
রোজ রাতে আর হয়না কথা,
হয়না নেওয়া হামি।।

রোজ রাতে আর চাদের বুড়ি কাটেনা চরকা রোজ,
ও বুড়ি তুই আছিস কেমন? হয়না নেয়া খোঁজ

কোথায় গেল সেই রূপকথার রাত হাজার গল্প শোনা
রাজার কুমার কোটালকুমার পক্ষীরাজ
সে ঘোড়া,
কেড়ে নিলো কে সে আজব সময়
আমার কাজলা দিদি
কে রে তুই কোন দৈত্য দানব
সব যে কেড়ে নিলি..

কে রে তুই? কে রে তুই??
সব সহজ শৈশব কে বদলে দিলি
কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে
তুই কে রে তুই??
যত বিষাক্ত প্রলোভনে আমায় ঠেলে দিলি
কোন এক ভুল স্রোতে..

আলাদিন আর যাদুর জিন আমায় ডাকছে শোনো
ব্যস্ত আমি ভীষণ রকম সময় তো নেই কোন

আলিবাবার দরজা খোলা চল্লিশ চোর এলে
সিন্দাবাদটা একলা বসে আছে সাগর তীরে
সময়টা আজ কেমন যেন বড় হয়ে গেছি আমি
তারা গুলো আজ ও মেঘের আড়াল কোথায় গিয়ে নামি..

কেড়ে নিলো কে সে আজব সময়
আমার কাজলা দিদি
কে রে তুই কোন দৈত্য দানব
সব যে কেড়ে নিলি..

কে রে তুই? কে রে তুই??
সব সহজ শৈশব কে বদলে দিলি
কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে
তুই কে রে তুই??
যত বিষাক্ত প্রলোভনে আমায় ঠেলে দিলি
কোন এক ভুল স্রোতে..

পরিচয় শিরোনামহীন

দেহের ভিতর রাখলাম যারে, সে আমার থাকল না রে
খাঁচার পাখি কখন কি আর
মনের পাখি হয় ?
তোমার আমার এই পরিচয়
সত্যি কি আর হয়।

কথায় কথায় মনের ছায়া, মিথ্যে আশায় দিচ্ছে মায়া
অবাক আলোয় বনের পাখি, মনের কথা কয়
বনের পাখি খাঁচায় থাকে, এমন কি আর হয়
তোমার আমার এই পরিচয়
সত্যি কি আর হয়।

লালন বলে খাঁচার কি দোষ, দুয়ার থাকলে খোলা
মনের দুয়ার বন্ধ হলে, সময় যে সব যাবে চলে
লোহার খাঁচার ছোট্ট ঘরে
কোন পাখি কি আর রয় ?

আট কুঠুরি নয় দরজা, সে তো খোলার নয় ......

তোমার আমার এই পরিচয়
সত্যি হবার নয়।

My love is gone

My love is gone,my love is gone.....
My love... is gone....,my love is gone..........

Gone...gone...my love is gone....
Let it go...
Let it go...,Let it go...,my love is gone...
Gone...gone...the girl has gone....
Let her go...
Let it go...,Let it go...,my love is gone..

Light has gone...
Story has change...
It's darkness all the way...
Victory from life slipped out...
It's left me along...
Now it's fine...
My love is gone,my love is gone.....
My love... is gone....,my love is gone..........

Glass will break...
Chain will get snapped...
Rose will wither...
Let it go...
Pond will stay...
Beauty will diminish...
Man also die...
Let love to go...
Successful lover...
Those who married...
They remain in homes...
Those who love and fail in it rule the world...
And shine bright the history...
My love is gone,my love is gone.....
My love... is gone....,my love is gone..........

My love is gone,my love is gone.....
My love... is gone....,my love is gone..........

My Heart Will Go On

Every night in my dreams
I see you, I feel you
That is how I know you, go on

Far across the distance
And spaces between us
You have come to show you, go on

Near, far, wherever you are
I believe that the heart does go on
Once more you open the door
And you're here in my heart
And my heart will go on and on

Love can touch us one time
And last for a lifetime
And never let go till we're gone

Love was when I loved you
One true time I hold you
In my life we'll always go on

Near, far, wherever you are
I believe that the heart does go on
Once more you open the door
And you're here in my heart
And my heart will go on and on

You're here, there's nothing I fear
And I know that my heart will go on
We'll stay forever this way
You are safe in my heart
And my heart will go on and on

"Gotta Have You"

Gray, quiet and tired and mean
Picking at a worried seam
I try to make you mad at me over the phone.
Red eyes and fire and signs
I'm taken by a nursery rhyme
I want to make a ray of sunshine and never leave home

No amount of coffee, no amount of crying
No amount of whiskey, no amount of wine
No, no, no, no, no,
nothing else will do
I've gotta have you, I've gotta have you.

The road gets cold, there's no spring in the meadow this year
I'm the new chicken clucking open hearts and ears
Oh, such a prima donna, sorry for myself
But green, it is also summer
And I won't be warm 'til I'm lying in your arms

No amount of coffee, no amount of crying
No amount of whiskey, no amount of wine
No, no, no, no, no
Nothing else will do
I've gotta have you, I've gotta have you

I see it all through a telescope: guitar, suitcase, and a warm coat
Lying in the back of the blue boat, humming a tune...hmmmmmmm

No amount of coffee, no amount of crying
No amount of whiskey, no wine
No, no, no, no, no
Nothing else will do
I've gotta have you, I've gotta have

No amount of coffee, no amount of crying
No amount of whiskey, no amount of wine
No, no, no, no, no
Nothing else will do
I've gotta have you, I've gotta have you.

I've gotta have you, gotta have you
I've gotta have you

বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা

বড় ইচ্ছে করছে ডাকতে, তার গন্ধে মেখে থাকতে,
কেন সন্ধ্যে সন্ধ্যে নামলে সে পালায়,
তাকে আটকে রাখার চেষ্টা, আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে তেষ্টা,
আমি দাঁড়িয়ে দেখছি শেষটা জানলায় |
বোঝেনা সে বোঝেনা, বোঝেনা সে বোঝেনা |
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা |

পায় স্বপ্ন স্বপ্ন লগ্নে, তার অন্য অন্য ডাকনাম,
তাকে নিত্যনতুন যত্নে কে সাজায়,
সব স্বপ্ন সত্যি হয় কার, তবু দেখতে দেখতে কাটছি
আর হাঁটছি যেদিকে আমার দু-চোখ যায় |

বোঝেনা সে বোঝেনা, বোঝেনা সে বোঝেনা |
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা |

আজ সব সত্যি মিথ্যে,দিন বলছে যেতে যেতে,
মন গুমরে গুমরে মরছে কি উপায়,
জানি স্বপ্ন সত্যি হয় না, তবু মন মানতে চায় না,
কেন এমন রাত্রি নামছে জানলায় |
বোঝেনা সে বোঝেনা, বোঝেনা সে বোঝেনা |
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা |

এটা গল্প হলেও পারতো, পাতা একটা আধটা পড়তাম,
খুব লুকিয়ে বাঁচিয়ে রাখতাম তাকে,
জানি আবার আসবে কালকে, নিয়ে পালকি পালকি ভাবনা,
ফের চলে যাবে করে একলা আমাকে |
বোঝেনা সে বোঝেনা, বোঝেনা সে বোঝেনা |
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা |

বোঝেনা সে বোঝেনা, বোঝেনা সে বোঝেনা |
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা |

বোঝেনা সে বোঝেনা, বোঝেনা সে বোঝেনা |
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা |

Always

There's somethin' 'bout the way the street looks when it's just rained
There's a glow off the pavement, you walk me to the car
And you know I wanna ask you to dance right there
In the middle of the parking lot, yeah

We're drivin' down the road, I wonder if you know
I'm tryin' so hard not to get caught up now
But you're just so cool, run your hands through your hair
Absent-mindedly makin' me want you

And I don't know how it gets better than this
You take my hand and drag me headfirst, fearless
And I don't know why but with you I dance
In a storm in my best dress, fearless

So baby drive slow 'til we run out of road
In this one horse town, I wanna stay right here
In this passenger seat, you put your eyes on me
In this moment, now capture it, remember it

'Cause I don't know how it gets better than this
You take my hand and drag me headfirst, fearless
And I don't know why but with you I'd dance
In a storm in my best dress, fearless

Well, you stood there with me in the doorway
My hands shake, I'm not usually this way
But you pull me in and I'm a little more brave
It's the first kiss, it's flawless, really somethin'
It's fearless

'Cause I don't know how it gets better than this
You take my hand and drag me headfirst, fearless
And I don't know why but with you I'd dance
In a storm in my best dress, fearless

'Cause I don't know how it gets better than this
You take my hand and drag me headfirst, fearless
And I don't know why but with you I'd dance
In a storm in my best dress, fearless

না রে না

না রে না,
আর তো পারে না,
মন আমার নাস্তানাবুদ এক জনেরই দায় |
না রে না,
কারো ধার ধরে না,
দিন আমার যাচ্ছে ভালই মিষ্টি যন্ত্রনায় |

বাড়িতে দোকানে এখানে ওখানে যেখানে সেখানে বানভাসি,
গলিতে পাড়াতে ডাকেতে সারাতে দাড়াতে দাড়াতে ভালবাসি,
আমি তো ফ্রী-তেই নাজেহাল,
এক ললনা করেছে ইন্দ্রজাল,
কে সামলায়ে আমায়ে এই অবস্থায় |


না রে না,
আর তো পারে না,
মন আমার নাস্তানাবুদ এক জনেরই দায় |

পরেছি ভালোবাসায়ে,
আর কে আমাকে পায়ে,
আমিও এবার পার্ক-এ বেড়াবো কখনো বা সিনেমায় |
অটোতে বাসেতে সিট,
পাশাপাশি হবে ফিট,
আমিও এবার রকিং রোমিও করবো মন যা চায় |
দেখোনা অফিসে হচ্ছে লেট,
হযেছি প্রেমেতে গ্রাজুয়েট,

কে সামলায়ে আমায়ে এই অবস্থায় |

না রে না,
আর তো পারে না,
মন আমার নাস্তানাবুদ এক জনেরই দায় |

দুরু দুরু চোখে চায়,
কত কি যে বলে যায়,
যেই না হেসেছে সেই তো ফেসেছে আমি মাঝ গঙ্গায় |
চাপা চাপা ঠোঁটে তার,
ট্র্যাকসুটে তলোয়ার,
মনে হয় শুনি যাবো এখুনি ফিদা হয়ে গেছি হায় |


আমি তো ফ্রী-তেই নাজেহাল,
এক ললনা করেছে ইন্দ্রজাল,
কে সামলায়ে আমায়ে এই অবস্থায় |


না রে না,
আর তো পারে না,
মন আমার নাস্তানাবুদ এক জনেরই দায় |


বাড়িতে দোকানে এখানে ওখানে যেখানে সেখানে বানভাসি,
গলিতে পাড়াতে ডাকেতে সারাতে দাড়াতে দাড়াতে ভালবাসি,
আমি তো ফ্রী-তেই নাজেহাল,
এক ললনা করেছে ইন্দ্রজাল,
কে সামলায়ে আমায়ে এই অবস্থায় |


না রে না,
আর তো পারে না,
মন আমার নাস্তানাবুদ এক জনেরই দায় |

মা কাজী নজরুল ইসলাম

যেখানেতে দেখি যাহা
মায়ের মতন আহা
একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,
মায়ের যতন এত
আদর সোহাগ সে তো
আর কোনখানে কেহ পাইবে না ভাই।

হেরিলে মায়ের মুখ
দূরে যায় সব দুখ,
মায়ের কোলেতে শুয়ে জুড়ায় পরান,
মায়ের শীতল কোলে
সকল যাতনা ভোলে
কত না সোহাগে মাতা বুকটি ভরান।

কত করি উৎপাত
আব্‌দার দিন রাত,
সব স’ন হাসি মুখে, ওরে সে যে মা!
আমাদের মুখ চেয়ে
নিজে র’ন নাহি খেয়ে,
শত দোষে দোষী তবু মা তো ত্যাজে না।...

কবর

এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা।
সোনালী ঊষায় সোনামুখে তার আমার নয়ন ভরি,
লাঙ্গল লইয়া ক্ষেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত,
এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোর তামাশা করিত শত।

এমন করিয়া জানিনা কখন জীবনের সাথে মিশে,
ছোট-খাট তার হাসি-ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।
বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা,
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি দু পয়সা করি দেড়ী,
পুঁতির মালা এক ছড়া নিতে কখনও হতনা দেরি।
দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে,
সন্ধ্যাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুর বাড়ির বাটে !
হেস না–হেস না–শোন দাদু সেই তামাক মাজন পেয়ে,
দাদী যে তোমার কত খুশি হোত দেখিতিস যদি চেয়ে।
নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, ‘এতদিন পরে এলে,
পথপানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখি জলে।’

আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,
কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝ্ঝুম নিরালায়।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ্ দাদু, ‘আয় খোদা, দয়াময়,
আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়।’

তার পরে এই শুন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি,
যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
শত কাফনের শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি
গনিয়া গনিয়া ভুল করে গনি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
গাড়িয়া দিয়াছি কতসোনা মুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।
মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে লাগায়ে বুক,
আয় আয় দাদু, গলাগলি ধরে কেঁদে যদি হয় সুখ।

এইখানে তোর বাপ্জী ঘুমায়, এইখানে তোর মা,
কাঁদছিস তুই ? কি করিব দাদু, পরান যে মানে না !
সেই ফাল্গুনে বাপ তোর এসে কহিল আমারে ডাকি,
বা-জান, আমার শরীর আজিকে কি যে করে থাকি থাকি।
ঘরের মেঝেতে সপ্ টি বিছায়ে কহিলাম, বাছা শোও,
সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা কি জানিত কেউ ?
গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে,
তুমি যে কহিলা–বা-জানেরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?
তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে,
সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে।
তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দু হাতে জড়ায়ে ধরি,
তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিত সারা দিন-মান ভরি।
গাছের পাতারা সেই বেদনায় বুনো পথে যেত ঝরে,
ফাল্গুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো মাঠখানি ভরে।
পথ দিয়ে যেতে গেঁয়ো-পথিকেরা মুছিয়া যাইতো চোখ,
চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।
আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি,
হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি।
গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,
চোখের জলের গহীন সায়রে ডুবায়ে সকল গাঁ।
উদাসিনী সেই পল্লীবালার নয়নের জল বুঝি,
কবর দেশের আন্ধার ঘরে পথ পেয়েছিল খুঁজি।
তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ,
হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বীষের তাজ।
মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, ‘বাছারে যাই,
বড় ব্যথা রল দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই;
দুলাল আমার, দাদু রে আমার, লক্ষ্মী আমার ওরে,
কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।’
ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গণ্ড ভিজায়ে নয়ন-জলে,
কি জানি আশিস্ করি গেল তোরে মরণ-ব্যথার ছলে।

ক্ষণ পরে মোরে ডাকিয়া কহিল, ‘আমার কবর গায়,
স্বামীর মাথার ‘মাথাল’ খানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।’
সেই সে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে,
পরানের ব্যথা মরে না কো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
জোড়-মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এইখানে তরু-ছায়,
গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে গায়ে।
জোনাকি মেয়েরা সারা রাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো,
ঝিঁঝিরা বাজায় ঘুমের নুপুর কত যেন বেসে ভাল।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু,’রহমান খোদা, আয়,
ভেস্ত নাজেল করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়ে।’

এইখানে তোর বু-জীর কবর, পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজীদের ঘরে বনিয়াদী ঘর পেয়ে।
এত আদরের বু-জীরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে।
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।
খবরের পর খবর পাঠাত, ‘দাদু যেন কাল এসে,
দু দিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।
শ্বশুর তাহার কসাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে,
অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে।
সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে, ফোটে না সেথায় হাসি,
কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিত ভাসি।
বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন,
কে জানিত হায়, তাহারও পরানে বাজিবে মরণ-বীণ!
কি জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে,
এইখানে তারে কবর দিয়াছি দেখে যাও দাদু ধীরে।

ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে বাসে নাই কেউ ভাল,
কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো।
বনের ঘুঘুরা উহু উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন,
পাতায় পাতায় কেঁপে ওঠে যেন তারি বেদনার বীণ।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু,’আয় খোদা দয়াময়!।
আমার বু-জীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়।’

হেথায় ঘুমায় তোর ছোট ফুপু সাত বছরের মেয়ে,
রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে।
ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কি জানি ভাবিত সদা,
অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা।
ফুলের মতন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে,
তোমার দাদীর মুখখানি মোর হৃদয়ে উঠিত ছেয়ে।
বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা,
রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা।

একদিন গেনু গজ্নার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে,
ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায় পথের পরে।
সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে,
কি জেনি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গ্যাছে।
আপন হসেতে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি–
দাদু ধর–ধর–বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি।
এইখানে এই কবরের পাশে, আরও কাছে আয় দাদু,
কথা ক’সনাক, জাগিয়া উঠিবে ঘুম-ভোলা মোর যাদু।
আস্তে আস্তে খুড়ে দেখ্ দেখি কঠিন মাটির তলে,
দীন দুনিয়ার ভেস্ত আমার ঘুমায় কিসের ছলে।

ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবিরের রাগে,
এমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।
মজীদ হইছে আজান হাঁকিছে বড় সকরুণ সুর,
মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দুর!
জোড়হাতে দাদু মোনাজাত কর্, ‘আয় খোদা, রহমান,
ভেস্ত নাজেল করিও সকল মৃত্যু-ব্যথিত প্রাণ!’

Mon Pajor - Kazi Shuvo

mon pajore shudhu tumi acho
kew to ar takena
mmm valobhashi ami shudhu tumai
chokhe te chokh rako na
ohh valobasha niye dekechi ami tore
sheje keno mon bhojena
keno tako duure
chokhe ri arale
mon tumi chuye dhekona

mon pajore shudhu tumi acho
kew to ar takena
mmmm valobhashi ami shudhu tumai
chokhe te chokh rako na

valobhashi tumai joton kore
eshona mone ri ekla ghore
2x

bhule tumi jeo na
dure ar tekona
mon khuje tumake

mon pajore shudhu tumi acho
kew to ar takena
mmm valobhashi ami shudhu tumai
chokhe te chokh rako na

dhibhanishi tumai chai je kaache
rakona mone ri apon? maje
2x

bhule tumi jeo na
dure ar tekona
mon khuje tumake

mon pajore shudhu tumi acho
kew to ar takena
mmm valobashi ami shudhu tumai
chokhe te chokh rakona

ohh valobhashi duure? rhekechi ontore
sheje keno mon bhujena
keno takbo dure
chokhei ri arale
mon tumi chuye dhekona

mon pajore shudhu tumi acho
kew to ar takena
mmm valobhashi ami shudhu tumai
chokhe te chokh rako na

Yeh Dosti

Yeh Dosti hum nahin todenge
This friendship we will not break

Todenge dam magar tera saath na chhodenge
I will die but will not leave your company or side

Yeh Dosti hum nahin todenge
This friendship we will not break

Todenge dam magar tera saath na chhodenge
I will die but will not leave your company or side

Ae meri jeet teri jeet,meri haar teri haar
My victory is your victory,Your defeat is my defeat

Sun ae mere yaar
Listen oh my friend

Tere gaam mere gaam,meri jaan teri jaan
Your pain or sadness is my pain and sadness,My life is your life

Aisa apna pyaar
That is how our love is

Jaan pe bhi khelenge,tere liye le lenge
I will even face the death for you i will

Jaan pe bhi khelenge,tere liye le lenge
I will even face the death for you i will

Sab se dushmani
Will become enemy of everyone

Yeh Dosti hum nahin todenge
This friendship we will not break

Todenge dam magar tera saath na chhodenge
I will die but will not leave your company or side


Logon ko aate hain do nazar hum magar
People see us as two but we

Dakho do nahin
Look we are not two

Arre ho judaa khafa ae khuda hai dua
Oh we separate or become angree oh God we pray

Asia do nahin
That should not happen ever

Khaana pena saath hai
We eat and drink together

Marna jeena saath hai
We will live and die together


Khaana pena saath hai
We eat and drink together

Marna jeena saath hai
We will live and die together

Saari zindagi
Our hole life and lives


Yeh Dosti hum nahin todenge
This friendship we will not break

Todenge dam magar tera saath na chhodenge
I will die but will not leave your company or side

Yeh Dosti hum nahin todenge
This friendship we will not break

Todenge dam magar tera saath na chhodenge
I will die but will not leave your company or side

I Want To Hold Your Hand Lyrics

Oh yeah, I'll tell you something
I think you'll understand
When I say that something
I want to hold your hand

I want to hold your hand
I want to hold your hand

Oh please say to me
You'll let me be your man
And please say to me
You'll let me hold your hand

You'll let me hold your hand
I want to hold your hand

And when I touch you I feel happy inside
It's such a feeling that my love
I can't hide, I can't hide, I can't hide

Yeah, you got that something
I think you'll understand
When I say that something
I want to hold your hand

I want to hold your hand
I want to hold your hand

And when I touch you I feel happy inside
It's such a feeling that my love
I can't hide, I can't hide, I can't hide

Yeah, you got that something
I think you'll understand
When I feel that something
I want to hold your hand

I want to hold your hand
I want to hold your hand
I want to hold your hand